Performance

My Recordings

Playlist
Raga - Darbari Kanada
Raga - Sohini (Alap)
Misra Pilu Dhun
Raga - Jhinjhoti
Thumri Bhairavi

My flute performance

Raag - Hameer

Hameer is a nocturnal Hindustani classical raga nominally placed in Kalyan thaat. All the (shuddha swaras (natural notes) along with (teevra madhyam are used in it. Generally, its vaadi swar (the most used, principal note of a raga on which a pause may be taken) is dhaivat and the samavaadi swar (the second-most used important note assisting the vaadi swar) is gandhar.

Raag- Maru Bihag

Raga Maru Bihag is one of the modern raga in the Hindustani Classical Music. It developed from raga Bihag. Maru Bihag is often referred as a variant of raga Bihag which uses only the Teevra Madhyam rather than using both the Madhyams i.e. Shuddha & Teevra in raga Bihag. 

Raag - Yaman

This Raag is rendered at the time when lights are put on. Its original name is Raag Kalyan and only during the Mughal’s rule the name Yaman was introduced and became current.

Raag - Jogiya

Jogiya, or Jogia, is a raga in Hindustani classical music. It is based on Bhairav Thaat. It is played at the 1st Prahar of the day, dawn time (Brahma Muhurt). The name Jogiya came from Jogi, a corruption of yogi.

Bhatiali Dhun

Bhatiali or bhatiyali (Bengali: ভাটিয়ালি) is a form of folk music in both Bangladesh and West Bengal. Bhatiali is a river song mostly sung by boatmen while going down streams of the river. The word bhatiyali comes from bhata meaning “ebb” or downstream.

Desh Tv Interview :

Bela Abela Sharabela

Ustad Azizul Islam with Assudzaman Noor

বাণী

ধন্যবাদ জ্ঞাপন : ওয়াহিদুল হক

২৭ নভেম্বর ১৯৯১ সালে ঢাকায় জার্মান কালচারাল ইনস্টিটিউটে বাঁশরী আয়োজিত অনুষ্ঠানে দর্শকদের পক্ষ থেকে শিল্পীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দেশের বরেণ্য সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক ও সংগীত বিদ্যাপীঠ ‘ছায়ানট-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জনাব ওয়াহিদুল হক। সেই ভাষণের অংশ বিশেষ।

 

”শিল্পী বাংলাদেশে বিশেষ নেই। নেই বলেই একটা কাণ্ড ঘটে থাকে-সকল পারফর্মারকে আমরা শিল্পী নামে ভূষিত করি। বাদক কিংবা গায়ক মাত্রই শিল্পী নয়। বাংলাদেশে শিল্পী খুঁজতে হলে অনুবিক্ষণ যন্ত্র লাগবে। আজিজুল ইসলাম শিল্পী। দুই নম্বর কথা, আজিজুল ইসলাম স্ব-শিক্ষিত শিল্পী, যাকে সাঙ্গীতিক পরিভাষায় বলা হয়, আতায়ী। এটা কোন নিন্দার কথা নয়। তানসেন স্বয়ং আতায়ী ছিলেন। ফলে এটা কেবল তার গৌরব বৃদ্ধি করে যে, তিনি কোনো বংশ পরম্পরায় নয়, কোনো একটা জীনঘটিত উত্তরাধিকারের দাবী তুলে নয়, কোনোভাবেই নয়- তিনি এরকম একটা জায়গায় এসেছেন সাধনার ফলে।

 

তারপর যে কথাটি থাকে, সেটি হল কেবল শিল্পী নয়, সাধক। কারণ এই শিল্পী অর্থের জন্য নয়, প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, প্রতিযোগিতার জন্য নয়, কেবলমাত্র সঙ্গীতকে ভালোবেসে সঙ্গীতে জীবন সমর্পণ করেছেন। শিল্পীকে সত্যিকার সম্মান দেয়া দরকার। শিল্পী সাধক হয়েছেন, এখন দরকার শিক্ষক হবার। সবচাইতে বড় গুণীকে বলা হয় ওস্তাদ। আরবি শব্দ ওস্তাদ মানে শিক্ষক। আমাদের দেশে সবচেয়ে অপব্যবহৃত শব্দ। ওস্তাদের ওপর আর কেউ নেই। আর সব হচ্ছে কালওয়াৎ। কলাবন্ত, গুণধারী ইত্যাদি নানারকম স্তর আছে পারফরমারদের, কিন্তু ওস্তাদের ওপর কেউ নেই।

 

আমি আমার কৃতজ্ঞতা কিভাবে জানাবো, আমি জানি না। আমি আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে, ক্ষুদ্র জ্ঞানে এরকম করে দেখছি যে মানুষটা চলছে এবং আমরা যে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা কিভাবে জানাবো কোথায় ধরব আমি ঠিক জানি না। কারণ উনি আমাদের দেন-আমরা ওকে কিছুই দিই না। এই যে শূন্যতাটা- মাঝখানে যে ব্যবধানটা এটা প্রাণান্তকর। এর চেয়ে বেশি বাকি থাকলে আমরা সব মরে যাবো। তার আগে একটা কিছু করা দরকার। শিল্পীকে সত্যিকার সম্মান দেয়া দরকার। তাকে বলা দরকার যে, আমরা পারি বা না পারি আমরা আপনার গুণে আপনার সৃষ্টিতে আমরা পরিপূর্ণ। আমাদের রসগ্রহীতাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন সেটা পুরো বাংলাদেশে সচরাচর আমাদের জীবনে একবার দুবারের বেশি আসে না। শিল্পীকে আপনাদের সকলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।”

ধন্যবাদ জ্ঞাপন : কামাল সানভী

৪ ও ৫ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখে পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে RI District 3240, India & RI District 3281, Bangladesh আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী Multi District Peace and Cultural Meet (মৈত্রী) এর উদ্বোধন করা হয় শিল্পীর বাঁশি বাদনের মাধ্যমে। ৪ তারিখের উদ্বোধনী বাজনা শুনে শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শিল্পীকে ৫ তারিখ সকালে বাঁশি বাজানোর অনুরোধ করেন। ৫ তারিখ সকালে অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরুর প্রারম্ভে শিল্পীর বংশীবাদনে সকলে মুগ্ধ হন। ঐ দিন সকালে Rotary International Director Rtn Kamal Shanvi শিল্পীর বাঁশি শুনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে নিম্নোল্লেখিত মন্তব্য করেন ও তাৎক্ষণিক শিল্পীকে ২০২০ ইং ফেব্রুয়ারি ২৩/২৪ তারিখের কোলকাতায় ভারতের Rotary শতবর্ষের (Centennial Festival) উদযাপনে বাঁশি বাজানোর জন্য আমন্ত্রণ করেন। শিল্পীর জীবনে এটি একটি বিরল ঘটনা এবং দেশের জন্যও গৌরবের।

 

Kamal Shanvi তাঁর বক্তব্যে বলেন : 

”Captain Islam, Ustad Islam you are fantastic. And sir Apki (আপনার) hunar (দক্ষতা/প্রতিভা) needs to be in kolkata on the 14th, 15th and 16th at the Centennial summit, ok. So I would want you to be there, I am sure they will look after that you need to be there. And let the Rotarians enjoy that lovely piece of flute which you played today-ok…….there will be about 5000 Rotarian.”

 

পরবর্তীতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে শিল্পী Rotary India Centennial Summit 2020 Program বংশীবাদন পরিবেশন করেন-যেখানে পৃথিবীর প্রায় ৪০টি দেশের বিশিষ্ট রোটারি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনেন।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন : ড. করুণাময় গোস্বামী

১০ মে ২০০৮ সালে জাতীয় নাট্যশালায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এর একক বংশীবাদন অনুষ্ঠানে বরেণ্য লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

ড. করুণাময় গোস্বামীর বক্তব্যের অংশ বিশেষ-

 

”আমরা বাঙালি হিসেবে এই গৌরববোধ করতেই পারি- বর্তমান ভারতবর্ষে বাঁশি বাজানোর যে স্টাইল-এটি বাঙালির দ্বারা প্রচলিত এবং বাঙালির দ্বারা প্রশিক্ষিত। আমাদের দেশে রাগ সংগীতের একটা ভয়ংকর খরা চলছে। বাঁশিতে তো একমাত্র আজিজুল ইসলাম। সাঈদ ভাই যেটি বলেছেন- তিনি ডোভারলেনে বাঁজিয়ে আসছেন এবং দেশ পত্রিকা বেশ সুখ্যাতি করেছেন, কলকাতার সংগীত মোদীরা খুবই খুশি হয়েছেন তার বাজনা শোনে। …আজিজুল ইসলাম আজকে যিনি বাজাবেন তার বাজনার অনেক গুণাগুণ আছে যেগুলো সহজে বা এ মুহূর্তে বলে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। যে কথাটি খুবই প্রণিদানযোগ্য বলবার, তার বাজনার মধ্যে গভীরতা জিনিসটি খুবই স্পষ্ট। তিনি স্পষ্টত খুব গভীরভাবে বাজান। গভীরকে তিনি সন্ধান করবার চেষ্টা করেন এবং কাঁধে যখন নামেন তার কাঁধে নামার ভঙ্গিটি খুব সুন্দর এবং যাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে আসা বলে। এই স্বরটিকে ছুঁইছি-ছুঁইছি না, ছুঁইছি-ছুঁইছি না-এই যে একটা দোলা এবং ঐ যে ধরবার যে একটা আকাঙক্ষা, স্পর্শ করবার যে আকাঙক্ষা, এটা যে স্পর্শ সুখ-এটা তার বাজনায় ভারী সুন্দরভাবে পাওয়া যায়। সুধী মন্ডলী, আমাকে আমন্ত্রণ জানাবার জন্যে আমি আজিজুল ইসলাম সাহেবকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। তার দীর্ঘজীবন কামনা করি এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংগীত গৌরব দেশে এবং দেশের-বাইরে বিস্তার লাভ করুক-তেমন কামনা করি, ধন্যবাদ।”

ধন্যবাদ জ্ঞাপন : প্রফেসর মাহমুদুল হক

০৬ মার্চ ২০০৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে শহীদ জিয়া মিলনায়তনে লেজার ভিশন কর্তৃক প্রকাশিত ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এর সিডির মোড়ক উন্মোচন  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রফেসর মাহমুদুল হকর বক্তব্যের অংশ বিশেষ-

 

”এই উপমহাদেশে যে কজন সৃষ্টিশীল বাঁশি বাজিয়ে যারা সত্যিকার অর্থে যথেষ্ট সুনাম দেশে এবং বিদেশে কুড়িয়েছেন আজিজুল ইসলাম নিঃসন্দেহে তাদের মধ্যে অন্যতম এবং ব্যতিক্রমধর্মী। আমি তাঁর শুভকামনা করি। তাঁর কাছ থেকে আমরা আরো বেশি কিছু আবিষ্কার, কিছু নতুন এবং ব্যতিক্রমধর্মী সুর আমাদেরকে উপহার দেবেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে তাঁর শুভকামনা করে এবং উপস্থিত সুধী মণ্ডলী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।”

ধন্যবাদ জ্ঞাপন : জনাব সাঈদ আহমেদ

১০ মে ২০০৮ সালে জাতীয় নাট্যশালায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এর একক বংশীবাদন অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব, বরেণ্য নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব সাঈদ আহমেদ নিম্নোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন-

 

”সুধীজন, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এক সিদ্ধ পুরুষ। নিজ সাধনায় আর উপরওয়ালার দোয়ায় নাম কামিয়েছেন। আমার বন্ধু বাহাদুর হোসেন খাঁ’র কাছে শিখেছেন। আর গুণী সাধক ভি জি যোগ ( কিংবদন্তী বেহালাবাদক) আর কানার্ড (পান্নালাল বাবুর শিষ্য, বাঁশিবাদক) এর সান্নিধ্য লাভ করেছেন। একমাত্র বাঁশিবাদক ডোভারলেনে বাঁশি বাজিয়েছেন- গৌরবের কথা। আমি ওনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। দেশের জন্য নাম কামাবার এই সময় ওস্তাদ আজিজুল ইসলামকে ধন্যবাদ। বাঁশি শুনুন আর উপভোগ করুন। ধন্যবাদ-আপনাদের সবাইকে, আবার ধন্যবাদ।”

ধন্যবাদ জ্ঞাপন : বিমান মুখোপাধ্যায়

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে কলকাতার টিভি চ্যানেল তারা মিউজিকের জনপ্রিয় স্বাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান “আজ সকালের আমন্ত্রণ -এ টেলিফোনে বিমান মুখোপাধ্যায় নিম্নোক্ত অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। যিনি ২৪ জানুয়ারি ২০১২ সালে উত্তরপাড়া মিউজিক কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।

 

”অনন্ত জবা রাশির মধ্যে যখন তিনি বিচরণ করছেন তার যে গভীরতা সেই গভীরতার সঙ্গে তিনি বাঁশির গভীরতাকে খোঁজে পাচ্ছিলেন এবং প্রথম দিনই আজকের মত তার সৃষ্ট গৎ এবং রাগ তিনি বাঁজিয়ে ছিলেন, যেটা আমাকে মচিত করেছিল। পরে সিন্দুরা রাগটি অবশ্য আমাকে মচিত ও মন্দ্রিত করেছিল। পরে ওর সঙ্গে আমার আলাপও হয়েছিল। আমি উত্তরপাড়ার একজন সদস্য এবং আমি গোটা পর্যালোচনায় ছিলাম। সামনের সারিতে থেকে তাকে দেখেছি, তার বাঁশি শুনেছি এবং আজকে যখন বেসদ বাজাচ্ছেন তখন মনে হচ্ছে- আজি দখিন দুয়ার খোলা, আমার বসন্ত এসো। এ রকম করে সুন্দর করে তিনি শুনাচ্ছেন তার গানের ভিতর দিয়ে যেন মনে হচ্ছে- “শীত যদি বা এসেই গেল বসন্ত আর অতি দূর, হিজল বায়ে শুনছি আমি, ফুল ফুটানোর গানের সূর। অসংখ্য নমস্কার, ভালোবাসা এবং তোমাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।”

কবিতা

(ভাষা সৈনিক কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী জাতীয় জাদুঘরে ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের বাঁশি শুনে কবিতাটি লিখেন। কবিতাটি কবির ‘গরাদভাঙার সংগ্রামীরা জাগো’ বইটিতে প্রকাশিত হয়। )

বাঁশির কান্না

মাহবুব উল আলম চৌধুরী

বাঁশঝাড় থেকে

নিয়ে এসে যখন

তার বুক ফুটো করে

মানুষ তাকে বাঁশি বানিয়ে ঠোঁটে নিল,

সেই অনাদিকাল থেকে বাঁশি কাঁদছে

সেদিন থেকে বাঁশঝাড়ও কাঁদছে।

কোনোদিন শুনেছো সেই কান্নার ব্যাকুলতা,

বুঝতে চেয়েছো কি

বাঁশি কেন কাঁদে,

কখনো বেহাগ সুরে

কখনো ভৈঁরোতে

কখনো ছায়ানটে

কেঁদে কেঁদে

সে কি বলতে চায়, শুনেছো কি।

সে কেন রাত্রি-নিশিথে

আকুল সুরে প্রিয় রাধাকে

ডেকে ডেকে কেঁদে মরে

বুঝেছো কি।

শুনেছো কি তার আকুল ক্রন্দন।

কেন সে দিন-দুপুরে

রাখালের মুখে বেজে বেজে

অনন্তের কাছে তার ডাক

পৌঁছে দ্যায়, বলে :

আমি মায়ের কাছে ফিরে যেতে চাই

আমি বাঁশবাগানে ফিরে যেতে চাই।

আমি শেকড়ে ফিরে যেতে চাই।

সেদিন থেকে আমিও বাঁশির কাছ থেকে

মায়ের জন্য কাঁদতে শিখেছি

মায়ের কাছে ফিরে যেতে চাচ্ছি

কিন্তু মা’কে, স্বদেশকে,

এখন আর খুঁজে পাচ্ছি না।

আকুল সুরে ডাকছি

মা তুমি কোথায়।

(১৯ জুলাই ২০০৭)

একটি বাঁশি

           একটি সন্ধ্যা

আবু তাহের মজুমদার

সমস্ত সন্ধ্যার অবয়বে রাগরাগিনীরা

ফুল হয়ে ফুটে ফুটে উঠেছিল

আজিজুল ইসলামের বাঁশীর অন্তরঙ্গতায়

অনুভবের মুহূর্তগুলি আবেগে বিস্ময়ে ছিল বুঁদ হয়ে

 

আরেকটি ভুবনের খুলে গিয়েছিল দ্বার

আরেকটি আকাশ হয়ে উঠেছিল নীল রাগিনী

অনেক কণ্ঠের অশ্রুত বৈভব ঐকতানে হয়েছে মুখর

কবেকার অন্তঃপুরে অসংখ্য বাঁশি উঠেছে বেজে

অসংখ্য নূপুরধ্বনি উতরোল বিহ্বল বাতাস

 

একে একে ভেসে গেল কতযে জলসাগর চোখের পাতায়

লোবানের করুণ গন্ধ ঝালরের ম্রিয়মান আলো

কালের বুক চিরে চিরে কত যে শিল্পিত মুখ

নৃত্যের নিপুণ মুদ্রায় কালান্তরে নিজেরে হারালো

 

এই সন্ধ্যা ইতিহাস হলো সময়ের মূর্ছনা

কত যে জাগাল বেদনার ধ্বনি রাগ বেদনার

একটি বাঁশি ইতিহাস হলো প্রাণছোঁয়া সুর-বৈভবে।

                                    (২০.০৯.২০০২)

বই : হৃদয় তোমার বিস্ফোরণে।

সমুদ্রের নীলে সুরের মূর্ছনা

অনিন্দিতা মুক্তা
(ওস্তাদ আজিজ শ্রদ্ধাস্পদেষু)

সমুদ্রের বিস্তীর্ণ নীলে মধ্যরাত জেগে ওঠে

চারপাশে বিহগ বাহার সুরের লহরী

ধ্যানমগ্ন এক নাবিক…

 

যতদূর চোখ যায়…

হেঁটে যায় ছুটে যায় ঢেউয়ের মিছিল

দূর প্রান্তে মৃদুলয়ে ঢেউয়ের সিম্ফনি

 

পূরবী ইমনের সুরে ভেসে ভেসে

বিহ্বল রাত গায়ে আঁধারের চাদর জড়ায়

দীপাবলি দরবারি কানাড়া…

সূরের মূর্ছনা স্বপ্নালোকের দুয়ার খোলে

 

মুগ্ধ নাবিক!

সে সুর গেঁথে যায় মননে

অনুভবে অনুরণন সারাক্ষণ

 

অজান্তে হাতে উঠে আসে বাঁশরি

যে বাঁশিতে বাতাস কাঁদে

সে বাঁশির সুরে সুরে ভেসে যায় দূরে বহু দূরে

 

আঁধার কাটে চিরচেনা ভৈরবী তানে

ধ্যানভাঙা চোখে ফিরে তাকায় নাবিক

শ্যামল সাগর তীরে…

০৭.০৬.১৫

(কবিতাটি কবির ‘জলজোছনার আলোছায়া’ বইটিতে প্রকাশিত হয়।)

অভিবাদন

আলেয়া চৌধুরী

ওগো অভিসংবাদি বংশিবাদক লও সালাম

তোমার তরে ফুলেল শুভেচ্ছা

অভিবাদন দিলাম কিংবদন্তী নাম।

 

রাগ বেহাগ ভৈরবী, সুরে সুরে হারিয়ে যাওয়া

আজি বসন্তে অনুপম মন্ত্রে যেন অসীমকে পাওয়া।

বাঁশি বাজে হৃদয় মাঝে সব অন্যায় অসাম্য শেষে

জেগে থাকো মানবিক সাজে

তোমার তরে দোয়া মাগি এক অমূল্য রতন।

 

তব শিরে শোভা পাক হিরা-মনি-মানিক্য ভালোবাসা ধন

তুমি বংশিবাদক অনন্য ঐশ্বরিক, আজিজুল ইসলাম বীর চট্টলার।

 

আবারও লও অভিবাদন লাল সালাম

তোমার অপূর্ব বাঁশি শুনে আমরাও বিমোহিত

প্রার্থনা বাংলাদেশে নয় সমগ্র বিশ্বে তুমি হও নন্দিত।

 

(চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে শিল্পীর একক বংশীবাদন অনুষ্ঠানে

বাঁশি শুনার সময় কবি এই কবিতাটি লিখেন)

মুরুলী আলাপ

চৌধুরী মিফতাহ্
(ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলামকে নিবেদিত)

সলিল সাগরে বিহার করে

সুর সায়রে আসি

বাজাইলে বেনু হইয়া ধেনু

সৃজনে মন ভাসি।।

 

কত রাগ খেয়াল কত রাগিনী-

মুরলীর আদি বিলাপ কত শত পথ ধরে

ভিড় করে যেন শত যামিনী।

কেবল সুরে সুরে সে কাহারে-

কাছে পেতে নিবিড় করে

যেথা দখিন পবন জুড়ে

সেথা মরমী সুর ঝুরে।।

শুনে মন রাগ ইমন-

ভৈরবী শ্রী পুরিয়া ধানেশ্রী

মিয়া কি মল্লার-

খাম্বাজ আশাবরী বাগেশ্রী

যেতে যেতে পথে পথে-

কত মুকুল শত আবেগী কথারে

মালা গেঁথে দেয় সুরে।।